চুল পড়বেই এটা স্বাভাবিক !
আমাদের মাথায় গড়ে ১ লক্ষ চুল আছে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ চুল গজায় এবং ১০০ থেকে ১৫০ চুল পড়ে যায়। এটা নরমাল। তার বেশি ঝরলে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
কী কী কারণে চুল বেশি পড়তে পারে?
> অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন নারীর চুল পড়া ও পুরুষের টাকের সবচেয়ে বড় কারণ।
> ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকি হলো চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
> শরীরের পুষ্টির অভাব হলে চুল পড়া বাড়ে।
> দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে পারে।
> হরমোনের কমবেশি হওয়ার কারণে চুল উঠে যেতে পারে।
> ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়ার পর চুল উঠে যায়।
> কিছু অসুখে যেমন: অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস ইত্যাদিতে চুল পড়ে যেতে পারে।
> শরীরে বড় কোনো অস্ত্রোপচার বা অপারেশনের পর বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ পার্শপ্রতিক্রিয়া।
> টাক বা চুল পড়ার ক্ষেত্রে বংশগত কারণও থাকতে পারে।
ওপরের সমস্যাগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই প্রতিরোধযোগ্য।
প্রতিরোধ :
* পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।
* প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ করুন।
* চুল খুশকিমুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।
* দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করতে হবে।
* কলপ, কৃত্রিম রং যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
* চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
* যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘরোয়াপদ্ধতিতে নিম পাতা দিয়ে চিরতরে চুল পড়া রোধের উপায় :
প্রাচীন যুগ থেকেই চুল পরিচর্যায় অন্যতম উপাদান হিসেবে নিমের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আয়ুর্বেদেও নিমকে চুলের বৃদ্ধি এবং চুল পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত। নিমে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে তা মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কেননা মাথার ত্বক সুস্থ থাকলেই চুলের বৃদ্ধি ভালোভাবে হবে। মূলতঃ পাতলা চুল কিংবা টাক পড়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে নিম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
– মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন বন্ধ করে চুলের গোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে নিম।
– তেলের সাথে নিম পাতার রস মাথায় মাসাজ করলে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।
– এছাড়াও মাথার ত্বকের ওপর নিম পাতা পেস্ট করে লাগালে তা মাথার ত্বকের ফুসকুড়ি, খুশকি, উকুনের সমস্যা, শুষ্ক ত্বক কিংবা অন্য কোন সমস্যা থাকলে তা নিরাময়ে সহায়তা করে।