ত্বক ও চুলের জন্য সহজেই কিছু রূপচর্চা করে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখা যায়।
শরীর সুস্থ রাখতে শুধু বাহ্যিক রূপচর্চায় নয়, সূর্যের আলো থেকে সরাসরি পাওয়া ভিটামিন ডি খুব কার্যকর। পাশাপাশি সুষম খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস থাকতে হবে।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের আহমেদাবাদের ত্বক বিশেষক ডা. মিতা দেশাই বলেন, “ত্বকে সূর্যালোক কম লাগা মানে হল ভিটামিন ডি’র ঘাটতি। ভিটামিন ডি’র অভাবে ত্বকে ব্রণ, একনি, নখ ফাটা, চুল পড়া, অপরিষ্কার ত্বক, জ্বলুনি, ঘুম ও মানসিক শান্তির অভাব ইত্যাদি দেখা দেয়।
ডা. দেশাই বলেন, “ঘরে থেকে পাওয়া সূর্যের আলো পর্যাপ্ত নয় কারণ গরম থেকে বাচঁতে ঘরে শীতাতপের ব্যবস্থা করা হয়, তাই ভিটামিন ডি পেতে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য জানালা বা বারান্দার পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
চুলের যত্ন :
পাকা কলা, আমলকীর রস, মধু এবং মেথি গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি একই সঙ্গে চুল নরম করবে এবং রোদে পুড়ে লালচে হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে।
ঘৃতকুমারীর রস, মেথি গুঁড়া ও ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী ও বহেরা) একসঙ্গে মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন।
এই গরমে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। আর এর পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমাবে। চুলে প্রথমে তেল লাগিয়ে নিন।
“শ্যাম্পু করার আগে চুলে পছন্দ মতো তেল লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মালিশ করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এতে তেল চুলের গভীরে পৌঁছবে। এরপর সাধারণ তাপামাত্রার পানি দিয়ে ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের জন্য
মধু ও চিনি মিক্স করে ২/৩ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে মধু ত্বক টানটান করে ও আর্দ্র রাখে।চিনি ত্বক এক্সফলিয়েট করে।
তরমুজ, লাল আতা, দুধ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন।
বাঙ্গি, দুধ, মধু ও লাল আতার সঙ্গে টকদই মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন
তরমুজ বা শশা ব্লেন্ড করে আইস বাক্স রেখে দিলে আইস কিউব গুলা যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়। ত্বকের রোদে পড়া দাগ ও এলারজি দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।
জেনে নিন তাঁর কিছু পরামর্শ—
বাইরে বেরোলে ছাতা ব্যবহার করুন।
ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন ক্রিম। এমন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন, যার এসপিএফ ৩০-এর বেশি
এ সময় ঘাম হয় খুব বেশি, তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। তবে সাবান বা ফেসওয়াশ দিনে এক বা দুইবারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
গরমে প্রচুর পানি, সবুজ শালসব্জি, সালাদ এবং সিসনাল ফলমূল খেতে হবে।