গ্রীষ্মের সময় চুলের বাড়তি যত্ন কিভাবে করতে পারেন?
গ্রীস্ম মানেই শরীরে আসে পানিশূন্যতা। এর ফলে চুল ও ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া গরমে ঘেমে গিয়ে চুলের গোড়া ভিজে থাকার কারণে খুশকিও হতে পারে। চুলের গোড়ায় ঘাম জমে থাকায় গোড়া নরম হওয়ায় চুল পড়ার প্রবণতা বাড়ে।
সপ্তাহে ২-৩ দিন তেল ব্যবহার করা প্রয়োজন। শ্যাম্পু করার আগের রাতে নারকেল তেল মালিশ করে রাখতে পারেন। নারকেল তেল সারা রাত রাখলেÿক্ষতি নেই।
খুশকির সমস্যায় ভুগলে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে এটি আধা ঘণ্টার বেশি সময় রাখা যাবে না, শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
ব্লেন্ডারে এক কাপ টকদইয়ের সঙ্গে ছোট একটা কলার অর্ধেক অংশ, একটি ডিম, মেথির গুঁড়ো ও আমলকী ব্লেন্ড করে চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। মিশ্রণে মেথি ও আমলকী থাকায় ডিমের গন্ধ পাওয়ার ভয় থাকবে না।
চুল পড়ার সমস্যায় ভুগলে টকদইয়ের মিশ্রণটিতে মেহেদি যোগ করে নিতে পারেন।
চুল রুক্ষ-শুষ্ক হলে এক টেবিল চামচ মধু বা অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে দুধ, টকদই ও মেথি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। মধুও যোগ করতে পারেন চুলের এই প্যাকটিতে।
সবশেষে চায়ের লিকার কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।