ত্বকে র্যাশ বলতে আমরা কী বুঝি?
র্যাশ সাধারণত আঁচ বা ঘামাচির মতো হয়। অনেক সময় চর্বিযুক্ত (ফ্যাটি) টিস্যু ধরনের হয়। যেমন, সিস্ট, ফ্যাটি টিস্যু বা বিনাইন, ত্বকের অনেক ধরনের অসুখের কারণেও র্যাশ হতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াল র্যাশ, এলার্জিক র্যাশ, অটো ইমিউন র্যাশ হতে পারে। এই সমস্যা ছোটদের থেকে বড়দের সবারই হতে পারে। অনেক সময় গরমের সময় র্যাশ হয়।
র্যাশ কেন হতে পারে ?
- অনেক সময় দেখা যায় শিশু গোসল করছে, মায়েরা পাউডার দিয়ে দিচ্ছে, তেল দিচ্ছে বা কাজলের ফোটা দিচ্ছে- এগুলো থেকেও শিশুর গায়ে র্যাশ ওঠে। এর ফলে দেখা যায় গা লাল হয়ে যাচ্ছে।
- বড়দের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় হরমোনাল সমস্যা বা কোনো এন্টিবায়োটিকের প্রতিক্রিয়ার ফলে র্যাশ হয়ে থাকে।
- আবার দেখা যায়, নতুন কেনা কোনো কসমেটিক্স ব্যবহার করছেন যা আপনার ত্বকে সহ্য হচ্ছে না। এমন মনে হলে সেই প্রসাধনী ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে হতে।
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়েও ত্বকে র্যাশ বেরোতে পারে।
- দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার কারণে পিত্তিথলিতে রস পরে র্যাশের কারণ হতে পারে।
র্যাশের প্রতিকার কি হতে পারে?
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আবশ্যক।
- ত্বক অনুযায়ী প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।
- খাবার তালিকায় তিতা জাতীয় খাবার রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায় যেমন – করল্লা ও চিরতা পানি খাওয়া যেতে পারে।
- নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।
- প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।