গ্রীষ্মের দুটি মাসে উষ্ণতাই প্রকৃতির স্বাভাবিকতা। এই সময় সহজেই শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, রোদের তাপও থাকে প্রখর। তাই ত্বক সুস্থতায় প্রয়োজন সচেতনতা।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। মাঝে মাঝে ডাবের পানি বা ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) রস খেতে পারেন।
টাটকা মৌসুমি ফল ও সবজি রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। শর্করাসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
বাসি খাবার খাবেন না। বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন ।
নিজেকে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখুন।
রোজ অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করুন।
রোদের তাপে মাত্র ১০ মিনিট থাকলেই ত্বকে রোদে পোড়া ভাব চলে আসতে পারে। এমনকি যাঁরা ঘরে থাকেন, তাঁরা বারান্দার রোদের কারণেও এমন সমস্যায় পড়তে পারেন।
গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন
আধা চা-চামচ শসার রসের সঙ্গে আধা চা-চামচ দুধ ও আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা হলে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তবে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শুধু শসার রস বা শসা কুচি ব্যবহার করতে হবে।
একইভাবে শসার রসের পরিবর্তে বাঙ্গির রসও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক তৈলাক্ত হলে এ ক্ষেত্রে দুধ ও মধু বাদ দিয়ে দিন।
এক টেবিল চামচ তরমুজের রসের সঙ্গে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করেও একই পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন।
যাঁদের ত্বক খুব তৈলাক্ত কিংবা যাঁরা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা নিম পাতা বাটা গোলাপ জলেরসাথে মিশিয়ে বেবহার করতে পারেন।
টোনিং-এর জন্য তরমুজ বা শসার রসের সঙ্গে টকদই মিশিয়ে পুরো মুখে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে একবার স্ক্রাবিং প্রয়োজন। এর জন্য গ্রীন টি পাতার সাথে চলার গুঁড়া, ত্বক দই ও মধু মিশিয়ে হালকা ২/৩মিনিট মেসেজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। বা মুখের ত্বক ছাড়াও হাত ও পায়ের ত্বক স্ক্রাব করা প্রয়োজন।