সবাই তো সুখী হতে চায় ! কেও সুখী হয়, কেও হয় না।
সুখী হওয়াটা নিজের কাছেই নির্ভর করে।
১. নেতিবাচক চিন্তা দূর করা : সব বিষয়ে দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে ইতিবাচনক চিন্তা করতে হবে। জীবনে যত ইতিবাচক হওয়া যায়, ততই সাফল্য। তাই পরিশ্রমি হতে হবে ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে হবে নিজেকে প্রতিটি কাজের প্রতি।
২. নিজেকে সবার থেকে অন্যতম ভাবা : ‘ওর ওটা আছে, আমার নেই কেন’ – এ ধরনের চিন্তা আপনার নিজ মানসিক শক্তিকেই কমিয়ে দেয়। এতে আপনার হতাশা কাজ করবে। সবার প্রতিভা এক নয়। নিজেকে নিজের মতো করে বিকশিত করুন।
৩. আশাবাদী হওয়া : কাজ করতে গেলে সবসময় সফলতা আসে তা নয়। ব্যর্থতাও আসে, সুখী সেই হতে পারে যে ব্যর্থতাকে হার মানিয়ে নিজ উদ্যোকে শিখে নিতে পারে। প্রতিটি ঘটনারই দুটি দিক থাকে – ‘’ইতিবাচক ও নেতিবাচক’’। চেষ্টা করুন সব সময় ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করার। এতে করে আপনি নিজেই উপকৃত হবেন।
৫. নিজেকে ভালোবাসুন: সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। তবেই আপনি আপনার পরিবারের প্রতি যত্নশীল হতে পারবেন। শরীর ও মন একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল। নিজের যত্ন নেয়া , নিজেকে সময় দিতে হবে। ইবাদত করাও একটি আত্মসন্তুস্টি। এছাড়া, ঘুরে আসুন কোথাও কিংবা শখের বিষয়গুলো চর্চা করুন। বই পড়ার অভ্যাস থাকাও একটি ভালো গুন্। নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৬. আত্মমর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করুন : আত্মসম্মান না থাকলে টাকা পয়সা কোনো কিছু মানুষিক শান্তি দিতে পারে না। তাই নিজের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া জানতে হবে। অন্যের কাছে নিজেকে সম্মানের সহিত উপাস্থাপন করতে হবে। এতে মানুষের থেকে আপনার নিজের প্রাপ্য সম্মান পাবেন।
৭. কিছু বিষয়কে ছাড় দেয়া : সব কাজেই যে প্রথম হতে হবে এমন চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রতিটা কাজেই সময় নিয়ে চিন্তা করুন এবং মনে করুন, ‘সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে’। আর প্রয়োজনে ’না’ বলা জানতে হবে। সব বিষয়ে ‘হ্যা’ বলে নিজেকে বেশি অন্যের কাছে সস্তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৮. কৃতজ্ঞ থাকুন: দিন শেষে যখন নীড়ে ফিরবেন, তখন চিন্তা করুন আপনি কতটা সফল। অনেকেই আছেন, ঠিক আপনার জীবনটাই পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য হন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
৯. প্রতিদিন কোনো ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন: আপনি যত জনকে হাসাবেন আপনি নিজেও ততো পরিমাণে হাসতে পারবেন! এটি আসলে প্রকৃতির নিয়ম। প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন যা অন্যকে সহযোগিতা বা আনন্দ দেয়। শুধু মানুষ নয়, জীবজন্তুর প্রতিও দয়াশীল হন।
১০. কর্মময় জীবনযাপন : অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখান! তাই নিজেকে ভালো ও সৎ কাজে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি, নিজের মনকে স্থির করার জন্য মেডিটেশন করুন যা আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াবে। নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে সর্বদা। এইসব কিছুই সুখী হওয়ার জন্য একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত।




